শেখ আজমল হুদা, ভালুকা প্রতিদিন:
ময়মনসিংহের ভালুকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হঠাৎ ময়মনসিংহ জেলা দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত অফিসের সহকারী পরিচালক রাজু মোহাম্মদ সারোয়ারের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি টিম মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুর থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করেন।
অফিযানের সময় উপস্থিতি ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নজরুল ইসলাম ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তাসলিমা খাতুন। দুদক টিম অভিযানকালে হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন ও সেবাপ্রার্থী রোগীদের সাথে কথা বলেন। এ সময় হাসপাতালের স্টোরে অতিরিক্ত ঔষধ, টিকেট কাউন্টারে টিকিট বিক্রিতে অনিয়ম, অ্যাম্বুলেন্স ভাড়ার অনিয়ম, মহিলা ও পুরুষ ওয়ার্ডে টয়লেট বেসিন অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্ন, মশারী ও বিছানার চাদর মাপে ছোট সহ বিভিন্ন অনিয়ম দেখতে পান। খাবারের মান নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও জরুরী বিভাগ, আউটডোর সেবা, রান্নাঘর, হাসপাতালের অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্নতায় দুদক টিম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
হাসপাতালে ভর্তি মো. মুন্তাজ উদ্দিন (৬০) দুদককে বলেন, আমি ও আমার ছেলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে ঔষধ বাহির থেকে কিনতে হচ্ছে।
অভিযান শেষে বিকালে ময়মনসিংহ জেলা দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত অফিসের সহকারী পরিচালক রাজু মোহাম্মদ সারোয়ার স্থানীয় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাসেবার মান, ওয়ার্ডে অপরিষ্কার, খাবার পানি সংকট বিষয়ে তাদের আজকের অভিযান ছিলো।
তিনি আরও বলেন, কাউন্টারে ৫টাকার টিকিট ১০টাকায় বিক্রি, ওয়ার্ডে অপরিষ্কার, স্টোরে ২ হাজার ৫ শত ঔষধ থাকার কথা থাকলেও তারা সেখানে ৮ হাজার ২শত ৫০ পিস ঔষধ পেয়েছেন যা রোগীদেরকে ঔষুধ সরবরাহ না করেও বিতরণের রেকর্ড হিসাব দেখানো হয়েছে। আমরা কর্তৃপক্ষকে এসব অনিয়মের তথ্য জানাব এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. ইব্রাহিম খলিল ও মো. শাহাদাত হোসেন সাথে ছিলেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, অনিয়মের অভিযোগগুলো উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।