শেখ আজমল হুদা, ভালুকা প্রতিদিন:
ময়মনসিংহ ভালুকায় গার্মেন্টস কর্মী সাবিনা ইয়াসমিন (৩৫) হত্যার আসামী স্বপন মিয়া (৩৭) কে গাজীপুর ভাংনাহাটি এলাকায় থেকে গ্রেফতার করেছে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৬জুন সকালে আসামী স্বপন মিয়া তার স্ত্রী সাবিনার কাছে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য ৫শত টাকা চায়। সাবিনা টাকা দিতে অস্বীকার করলে সাবিনার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। সাবিনা তার ভাড়া বাসার রুমের ফ্লোরে বসা ছিলো। এক পর্যায়ে তার স্বামী স্বপন মিয়া ফ্রিজের পাশে থাকা শিল দিয়া সাবিনার মাথায় কয়েকটি আঘাত করার পর বটি দা দিয়ে কুপ দিলে ফ্লোরে পড়ে যায়। স্বপন মিয়া সাবিনার লাশ ঘরে খাটের নিচে ঢুকিয়ে সাবিনার মোবাইল ও ঘরের তালা চাবি নিয়ে ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়। সাবিনা ইয়াসমিন ময়মনসিংহ জেলা ত্রিশাল উপজেলার কানিহারী ইউনিয়নের তিরখি গ্রামের রুহুল আমিন মেয়ে। ঈদের পর দিন সাবিনার লাশ উদ্ধার হলে আসামীর ছোট ভাই মো. আপন ও মামাতো ভাই আইনুল সাবিনার বিষয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসা করলে সাবিনাকে মেরে ফেলার কথা স্বীকার করে।
এ বিষয়ে সাবিনা ইয়াসমিনের ছোট ভাই আফজাল হোসেন বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় গত ৮জুন ২০২৫ ইং (১৫) একটি মামলা দায়ের করেন।
ভালুকা মডেল থানা পুলিশ শুক্রবার (১৩ জুন) বিকালে ভালুকা মডেল থানার এসআই নিঃ) মো. আমিনুল হক সঙ্গীয় এসআই গোবিন্দ দাস, এএস আই আনোয়ার-২ ও ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করে গাজীপুর জেলা শ্রীপুর উপজেলা ভাংনাহাটি এলাকা থেকে আসামী স্বপন মিয়াকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাবিনাকে হত্যার কথা স্বীকার করে। হত্যা করার আলামত ভাড়া বাসা হতে ব্যবহৃত শিল, বটি দা উদ্ধার করেছে। স্বপন মিয়া পুলিশকে বলেন, তার স্ত্রী সাবিনার চাকুরী টাকা তার হাতে দেয় না বলে শিল দিয়ে ও বটি দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। লাশ যাতে কেউ না পায় সেজন্য ঘরে থাকা খাটের নিচে লাশ লুকিয়ে রেখে ঘর তালা দিয়ে সাথে থাকা মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
মো. স্বপন মিয়ার বাড়ি ময়মনসিংহ ইশ্বরগঞ্জ উপজেলা রাজিবপুর ইউনিয়ন উজান চর নওপাড়া গ্রামের আবদুল বারেক এর ছেলে।