শেখ আজমল হুদা, ভালুকা প্রতিদিন:
ময়মনসিংহের ভালুকায় ৩টি বিদ্যালয় ও ১টি মসজিদের মাঠের মাঝখান দিয়ে চলা রাস্তাটি স্থায়ীভাবে অপসারণ ও বন্ধ করে দেওয়া বাইপাস রাস্তাাটি খোলে দেয়ার দাবীতে শনিবার (২৪ মে) দুপুরে র্যালী, মানববন্ধন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
বিদ্যালয়টি তিনটি হলো, ২৫ নং রান্দিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, রান্দিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, রান্দিয়া ফুরকানিয়া হাফিজিয়া এতিমখানা মাদ্রাসা ও রান্দিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর তারা স্মারকলিপি প্রদান করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সাবেক ইউপি সদস্য খন্দকার শানিমুল হাসান, রান্দিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন খান, রান্দিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাছিমা খানম প্রমুখ। এছাড়াও উল্লেখিত বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন।
জানাযায়, বিদ্যালয়ের মাঝখান দিয়ে মাঝখান দিয়ে বগারবাজার চৌরাস্তা থেকে শান্তিগঞ্জ বাজার রাস্তাটি চলমান থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা খেলার উপযুক্ত পরিবেশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ইতিপূর্বে প্রাইমারী স্কুলের এক ছাত্র দূর্ঘটনায় পা ভেঙ্গে যায়। যে কারণে যানবাহন চলাচলের কারণে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।
এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের দাবীর প্রেক্ষিতে ২০১৮ সনে উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে প্রাইমারী বিদ্যালয়ের পিছন দিয়ে একটি বাইপাস রাস্তা নির্মাণ করেন উপজেলা পরিষদ। তৎকালীন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাস্তাটি উদ্বোধনের মাধ্যমে ২০১৮ সনের ২২ জানুয়ারি রাস্তাটি খোলে দেন। দীর্ঘ ৭বছর সেই বাইপাস রাস্তাাটিই চালু ছিলো। সম্প্রতি চলমান বাইপাস রাস্তাটি বন্ধ করে দেন রান্দিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও স্থানীয় প্রভাবশালী খন্দকার মোজাম্মেল হক মোতর্জা মাস্টার। বর্তমানে বাইপাস রাস্তা থাকলেও সেটি বন্ধ করে দেয়ার কারণে ব্যবহার করা যাচ্ছেনা। বিষয়টি বার বার অবহিত করার পরও কার্যকর কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না উপজেলা প্রশাসন।
বিদ্যালয়ের দাতা পরিবারের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার মুজিবুল হক বলেন, ‘‘খন্দকার মোজাম্মেল হক মোতর্জা বাইপাস রাস্তাটি জোড়পূর্বক বন্ধ করে রেখেছেন, ফলে তিনটি বিদ্যালয়েরই শিক্ষার পরিবেশ বিঘœ ঘটছে।’’
খন্দকার মোজাম্মেল হক মোতর্জা বলেন, ‘‘বাইপাস রাস্তাটি যখন করে তখন আমাকে বলেছিল আমার জমির ক্ষতিপূরন দিবে আজও পর্যন্ত কোন কিছু দেয়নি। আমি রাস্তা বন্ধ করেনি, আমি আমার পৈতৃক সম্পত্তিতে বাড়ি করেছি।
শিকাক্ষার্থীরা খেলা-ধূলার অধিকার থেকে বঞ্চিত রয়েছে, চরম নিরাপত্তাহীনতা ও হুমকির মুখে রয়েছে। তিনি দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাইপাস রাস্তাটি খোলে দেয়ার জোরদাবি জানান।”
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, ‘‘রাস্তাটি কিছুদিন পূর্বে পরিদর্শন করে রাস্তাটি সংস্কারের বরাদ্দ দেই। আমি একটি স্মারক লিপি পেয়েছি, বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিব।’’